Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

গুড অ্যানিমেল হাজবেন্ডি প্রাকটিস ও স্মার্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে প্রাণিজাত নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন

গুড অ্যানিমেল হাজবেন্ডি প্রাকটিস ও স্মার্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে প্রাণিজাত নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন
কৃষিবিদ ডক্টর এস. এম. রাজিউর রহমান

সারাদেশে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা সাধারণত বেশির ভাগ  দুধ উৎপাদন করেন  আর অল্প কিছু  বড় কৃষক বাণিজ্যিক আকারে দুগ্ধ ব্যবসা করেন। এই দুগ্ধ খামারসমুহ সম্প্রতিকালে বিদ্যমান জীবিকায়ন থেকে আরও বাজারভিত্তিক প্রযুক্তিনির্ভর  কৃষিতে রূপান্তরিত হয়েছে, যা দেশীয় এবং বিশ্ব বাজারের ভোক্তাদের সন্তুষ্টির দিকে মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশে গরু ও মহিষ প্রধানত দুগ্ধজাত প্রাণী হিসেবে বিবেচিত হয়। অন্যান্য প্রজাতি যেমন মহিষ ও ছাগলের চেয়ে গবাদি পশুকে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হয়; যদিও বর্তমানে মহিষ দুধ উৎপাদনকারী প্রাণী হিসেবে গুরুত্ব পেয়েছে, যা সরকারি উদ্যোগের কারণে সম্প্রসারিত হয়েছে। দেশে প্রায় ২৪.৭০ মিলিয়ন গবাদি পশু, ১.৫০ মিলিয়ন মহিষ এবং ২৬.৭৭ মিলিয়ন ছাগল (DLS২০২২) রয়েছে। মোট ৮.৭২ মিলিয়ন দোহনকারী গাভীর মধ্যে ৪.৬২ মিলিয়ন (৫৩%) দেশী এবং ৪.০৪ মিলিয়ন (৪৭%) ক্রস ব্রিড গবাদিপশু রয়েছে। ক্রস ব্রিড বেশির ভাগ হলস্টেইন ফ্রিজিয়ান, শাহিওয়াল এবং সিন্ধি জাতের। দুগ্ধ খাতে ক্ষুদ্র কৃষকদের আধিপত্য ছিল। ৭০% এরও বেশি দুগ্ধ খামারিরা ক্ষুদ্র কৃষক এবং মোট ৭০-৮০%  দুধ উৎপাদন করে, দেশের মোট দুধের বাকি (৩০-২০%) আসে বাণিজ্যিক দুগ্ধ খামার থেকে (উদ্দীন এট আল, ২০২০)।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশে’ পরিণত করার ঘোষণা দিয়েছেন । একটি সুস্থ জাতি না থাকলে আমরা স্মার্ট নাগরিক খুঁজে পাবো না, যা স্মার্ট বাংলাদেশের অন্যতম স্তম্ভ। স্বাস্থ্যকর জাতির জন্য খাদ্য নিরাপদতা গুরুত্বপূর্ণ। একবিংশ শতাব্দীর এই সময়ে, বাংলাদেশে প্রাণীপালন স্মার্ট ফার্মিং-এ রূপান্তরিত হচ্ছে, এইশিল্প বিপ্লব (4IR)  শুরু হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স, মেশিন লার্নিং, ইন্টারনেট অব থিংস (IoT) এবং অটোমেশন প্রযুক্তির সমন্বয়ে।  স্মার্ট ফার্মিংয়ের মধ্যে রয়েছে রিয়েল-টাইম সেন্সর যা পরিধানযোগ্য স্মার্ট কলার, মেশিন লার্নিং ডেটা বিশ্লেষণ এবং ক্লাউডভিত্তিক ডেটা সেন্টারের সাহায্যে খামার থেকে ডেটা সংগ্রহ করে যা ডেটা পরিচালনা করে এবং পণ্যের গুণমান পরিচালনার জন্য কৃষককে সহায়তা করতে পারে। প্রাণী উৎসিত খাদ্য পণ্যে সাধারণত এক ধরনের সাধারণ মাইক্রোবায়োটা থাকে, যার মধ্যে উপকারী জীবাণু ও প্যাথোজেন থাকে। এ ছাড়াও, এই পণ্যগুলো পরবর্তীতে সম্ভাব্য খাদ্যবাহিত রোগজীবাণু, যেমন সালমোনেলা এসপিপি, এসচেরিচিয়া কোলি, স্ট্যাফিলোকক্কাস অরিয়াস, ক্যাম্পিলোব্যাক্টর এবং অন্যগুলোর সাথে দূষণের ঝুঁকিতে থাকে। খাদ্যজনিত রোগজীবাণু ছাড়াও মাংস, দুধ ডিম এবং এর উপজাতগুলোতে এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল-প্রতিরোধী জিন থাকতে পারে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য সরাসরি হুমকি তৈরি করে। প্রাথমিক উৎপাদনে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, রাসায়নিক এবং কীটনাশকের নির্বিচারে ব্যবহার দেশের খাদ্য ও খাদ্যপণ্যের নিরাপদতাকে হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।
বিশ্বে ২০০টিরও বেশি রোগের কারণে ৫৫০ মিলিয়ন মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং প্রতি বছর  অনেক মানুষ মারা যায় অনিরাপদ খাবারের কারণে। স্ট্যান্ডার্ড অনুশীলন যেমন- গুড অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি প্র্যাকটিস  (GAHP), খামারের যাবতীয় কার‌্যাবলীর সাথে জড়িত খাদ্যের নিরাপদতার  চ্যালেঞ্জগুলো দূর করতে পারে।
স্মার্ট ফার্মিং এর ক্ষেত্রে বাংলাদেশে গুড এনিমেল হাজবেন্ড্রি প্র্যাকটিসের ব্যবহার  দুগ্ধ ও প্রাণিসম্পদ খামারের ক্ষেত্রে কিছুটা আশাব্যঞ্জক চিত্র রয়েছে। গবাদি প্রাণির উৎপাদনশীলতা বাড়াতে গ্রামীণফোন ‘ডিজিগরু’ নামে একটি অ্যাপ চালু করেছে। কাঞ্চন, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জের মাসকো ডেইরি ফার্ম এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তার গবাদিপশুর খামারটিকে দেশের প্রথম ডিজিটাল প্রাণিসম্পদ খামার (মাস্কো ডেইরি ফার্ম) বানিয়েছে । ২০১৯ সালে, Digi Cow,IoT ভিত্তিক ডিজিটাল লাইভস্টক ম্যানেজমেন্ট সলিউশন, Masco Dairy Enterpriseএ চালু  করেছিল। এই উরমর ঈড়ি প্রযুক্তি গরুর খাদ্য, বিভিন্ন আচরণ, উর্বরতা ও স্বাস্থ্যের অবস্থা ইত্যাদি, তথ্য বিশ্লেষণ  করে দুগ্ধ খামারিদের সহজে গরুর স্বাস্থ্য, উর্বরতা এবং পঙ্গুত্ব নিরীক্ষণ তথ্য পেতে পারে। সূর্যমুখী  প্রাণি সেবা গবাদি প্রাণীর  প্রযুক্তি, বীমা এবং অন্যান্য পরিষেবাসহ দুগ্ধ খামারগুলোতে সহায়তা করছে। মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার ডাচ ডেইরি ফার্মটি স্মার্ট  প্রযুক্তির সমন্বয়ে সুসজ্জিত। ইওন গ্রুপ রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলায় দেশের  প্রথম স্বয়ংক্রিয় দুগ্ধ খামার প্রতিষ্ঠা করেছে। তারা প্রধানত অন্যান্য দুগ্ধভিত্তিক পণ্য যেমন ঘি, দই এবং আইসক্রিমের পাশাপাশি পাস্তুরিত দুধ তৈরি করে, যা বারাকাহ ব্র্যান্ডের নামে বাজারজাত করা হয়। খামারটি সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় প্রাণীখাদ্য প্রস্তুত করা থেকে শুরু করে দুগ্ধ দহন ও দুধের প্যাকেজিং পর্যন্ত  কোনরকম হাতের ব্যবহার করা হয় না। প্রতিটি গরুর স্বাস্থ্য, খাদ্য গ্রহণ, ওষুধের প্রয়োগ এবং প্রজনন পর্যবেক্ষণের জন্য আইওটি সেন্সর স্থাপন করা হয়েছে। এ ধরনের স্মার্ট ফার্মিং প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ দুধের চাহিদা পূরণের কাজ চলছে।
একটি আইনিকাঠামোর মধ্যে স্মার্ট ফার্মিং কার্যক্রমগুলোকে বেগবান করার জন্য, প্রাইভেট-পাবলিক পার্টনারশিপ, অর্থায়ন, বীমা, আন্তর্জাতিক বাজারে অভিগম্যতার সহায়তা প্রদান, দক্ষ জনশক্তি তৈরি, কার্যক্রমের তদারকি ও মূল্যায়ন ইত্যাদি এখন সময়ের চাহিদা। এজন্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন স্বতন্ত্র স্বাধীন প্রতিষ্ঠান দরকার। আশার কথা, বাংলাদেশ সরকার ডেইরি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড অ্যাক্ট,২০২২ প্রণয়ন করছে। এই আইনের অধীনে একটি দুগ্ধ উন্নয়ন বোর্ড গঠন করা হবে যা এই খাতের উন্নয়নের বিষয়ে সব ধরনের নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেবে। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা এবং অন্যান্য ইউরোপীয় দেশে দুগ্ধ উন্নয়ন বোর্ড রয়েছে। জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন (এফএও) অনুসারে, ভারত এখন বিশ্বের এক নম্বর দুধ উৎপাদক দেশ। ডেইরি বোর্ড ভারতকে শীর্ষ দুধ উৎপাদক দেশে পরিণত করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছে। আমরা চাই ভারতের মতো বাংলাদেশেও ডেইরি বোর্ড দুধ উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ডেইরি বোর্ডের আওতায় ডেইরি খামারের জন্য গুড প্র্যাকটিস প্রটোকল তৈরি করতে হবে,যা গুড ডেইরি প্র্যাকটিস নামে অভিহিত হতে পারে। গুড  প্র্যাকটিস (জিপি) চারটি স্তম্ভ নিয়ে গঠিত যেমন ইহা অর্থনৈতিক, পরিবেশগত এবং সামাজিক ভাবে স্থায়িত্বশীল এবং খাদ্যে নিরাপদতা থাকবে। এটি অবশ্যই প্রযুক্তি এবং প্রাতিষ্ঠানিক সেটআপের একটি ইউনিক  মিশ্রণ যা, কৃষকদের জীবিকার উপর উল্লেখযোগ্য এবং টেকসই প্রভাব ফেলে । এছাড়াও এটি সাপ্লাই চেইনের সকল অংশীজনকে সংবেদনশীল  করে, একত্র করে এবং নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নকে প্রভাবিত করে যা, বিভিন্ন প্রচলিত  এবং সুপারিশকৃত অনুশীলনের সংকলন।
গুড অ্যানিমল হাজবেন্ড্রি প্র্যাকটিস খামার অনুশীলনের ন্যূনতম মানগুলো নিশ্চিত করে যা ভোক্তাদের চূড়ান্ত পণ্যগুলো সম্পর্কে আস্থা প্রদান করে এবং মানুষের ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত। এ ধরনের উত্তম চর্চাগুলো বা অনুশীলনগুলো পরিবেশের কোন ক্ষতি না করে খামার শ্রমিক এবং প্রাণী উভয়ের জন্য স্বাস্থ্যকর এবং নিরাপদ অবস্থা নিশ্চিত করে। ASEAN দেশগুলো GAHP-এর একটি অভিন্ন স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করেছে। এটিকে ASEAN মেম্বার স্টেট/সদস্য রাষ্ট্র (AMS) জুড়ে প্রবর্তন করেছে যেমন ব্রুনাই, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, লাও চউজ, মালয়েশিয়া, মায়ানমার, ফিলিপাইন এবং সিঙ্গাপুর। সদস্য রাষ্ট্রগুলো AMS) ইতিমধ্যেই ASEAN মুরগির মাংস এবং ডিম শিল্পে খাদ্য নিরাপদতার জন্য একটি সাধারণ GAHP প্রটোকল  তৈরি করেছে। বাংলাদেশে প্রাণি উৎপাদিত খাদ্যের নিরাপদতা নিশ্চিত করার জন্য প্রাণী পালন অনুশীলন, প্রাণী কল্যাণ, জীব নিরাপত্তা, প্রাণী স্বাস্থ্য পরিচর্যার পাশাপাশি খামারে কর্মীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার জন্য এঅঐচ-এর অভিন্ন নির্দেশিকা নেই। এঅঐচ নির্দেশিকাগুলোকে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের পাশাপাশি রপ্তানি বাজারে পৌঁছানোর লক্ষ্য তৈরি করতে হবে; বাংলাদেশের বেশ কিছু প্রকল্পভিত্তিক এঅঐচ মডিউল/ম্যানুয়াল/গাইডলাইন তৈরি হয়েছে । এসব  এঅঐচ মডিউল/ম্যানুয়াল/গাইডলাইন আন্তর্জাতিক মানদ-ের সাথে সঙ্গতি রেখে সংশোধিত করতে হবে যা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ দ্বারা অনুমোদিত এবং বিদ্যমান আইনি কাঠামোর সাথে মিল রেখে তৈরি করতে হবে । উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ট্রেড ফেসিলিটেশন প্রকল্পের আওতায় গুড লাইফস্টক হাজবেন্ড্রী প্র্যাকটিস ডকুমেন্ট তৈরি করা হয়েছে। জাতিসংঘের শিল্প উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান (ইউনিডো) এলডিডিপি প্রকল্পের আওতায় রুমিনেন্ট খামার, মুরগির খামার; অ্যানিমল মার্কেট, অ্যানিমল ট্রান্সপোর্ট, কসাইখানার পোস্টমর্টাম ও এন্টিমর্টাম ইনস্পেকশনের জন্য GAHP প্রটোকল তৈরি করেছে এবং বিশেষজ্ঞ মতামত নেয়া হয়েছে। এ সকল প্রটোকল সমূহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তর একটি স্বতন্ত্র কমিশনের মাধ্যমে গুড অ্যানিমল হাজবেন্ড্রি প্র্যাকটিস পলিসি ও  বাস্তবায়ন কৌশল  তৈরি করতে পারে, যা স্মার্ট লাইফ স্টক ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে  ভূমিকা রাখতে পারে।  
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর (ডিএলএস) প্রাণিজাত খাদ্যের নিরাপদতা নিশ্চিত করতে এবং জনস্বাস্থ্য সম্ভাব্য ঝুঁকি কমানোর নিমিত্তে  গুড অ্যানিমল হাজবেন্ড্রি প্র্যাকটিস মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন এবং এ অনুযায়ী ডেডিকেটেড ইন্সপেকশন সিস্টেম  চালু করা উচিত। পরিশেষে  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কণ্ঠে তালমিলিয়ে  বলতে চাই ‘আমারা বাংলাদেশের মানুষ, আমাদের মাটি আছে, আমার সোনার বাংলা আছে, আমার পাট আছে, আমার চা আছে,  আমার ফরেস্ট আছে, আমার মাছ আছে, আমার লাইভস্টক আছে। যদি ডেভেলপ করতে পারি  ইনশাআল্লাহ এ দিন থাকবে না। গুড অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি প্র্যাকটিস ইতোমধ্যে ডেভেলপ হয়েছে, প্রয়োজনীয় আইনি কাঠামোর মধ্যে বাস্তবায়ন করলেই আমরা স্মার্ট লাইভস্টক ফার্মিংয়ের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি করতে পারব।
লেখক : জাতীয় প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি বিশেষজ্ঞ, জাতিসংঘের শিল্প উন্নয়ন সংস্থা। মোবাইল : ০১৭১৭৯৭৯৬৯৭, ই-মেইল : smrajiurrahman@yahoo.com


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon